![]() |
পাবজি |
মরন নেশার মত আরেকটি গেমস হল পাবজি কেউ যদি খেলতে বসে ২/৩ ঘন্টা পার হয়ে গেলেও টেরই পায় না সে কতক্ষণ গেম খেলতেছে যার ফলে ছাত্রের জন্য লেখা-পড়ার ঝুকি,ব্যবসায়ির জন্য ব্যাবসায়িক ক্ষতি তাছাড়াও এর ফলে যুব সমাজের মাঝে এক চরম উত্তেজনা তৈরী হচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান ব্লু হোয়েলের তৈরি করা অনলাইন ভিডিও গেম প্লেয়ার আননোনস ব্যাটেলগ্রাউন্ডস (পাবজি) খুলে দেওয়া হয়েছে। গেমটির মাধ্যমে তরুণেরা সহিংসতায় উদ্বুদ্ধ হতে পারে আশঙ্কায় গেমটি বন্ধ করা হয়েছিল।
বন্ধের ফলে তরুণ-তরুণীদের কাছে জনপ্রিয় অনলাইন গেম পাবজি ইনস্টল করা যাচ্ছিল না।
পাবজি কেন নিষিদ্ধ করা হয়েছে—এ বিষয়ে জানতে চাইলে আজ শুক্রবার রাতে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার প্রথম আলোকে বলেন, ‘নিষিদ্ধ করা হয়ে ছিল, সেটা আবার খুলে দেওয়া হয়েছে। আমাদের ধারণা ছিল, এটি খুব ক্ষতিকর একটি বিষয়। পরে পর্যালোচনা করে দেখে ক্ষতিকারক এমন কোনো কিছু পাওয়া যায়নি। তাই খুলে দেওয়া হয়েছে।’
মোস্তাফা জব্বার প্রথম আলোকে বলেন, রেডইট ওয়েবসাইট বন্ধ করা হয়েছে। কারণ, এখানে পর্নো উপাদান রয়েছে। বাকি সব কটি গেম খুলে দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ আছে, পাবজি গেম শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহিংস মনোভাব তৈরি করছে। একই সঙ্গে পড়াশোনা থেকে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ অন্য জায়গায় সরিয়ে নিচ্ছে বলেও অভিযোগ অভিভাবকদের। স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবকদের কাছ থেকে অসংখ্য অভিযোগ পাওয়ার পর গেমটি বাংলাদেশ থেকে খেলা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে পাবজি গেমটি বাংলাদেশে খেলতে সমস্যা হওয়ার কথা জানিয়ে অনেকে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে ভারত, নেপাল, চীনসহ কয়েকটি দেশে পাবজি গেমটি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ২০১৭ সালে চালু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ১০ কোটির বেশিবার ডাউনলোড করা হয়েছে এই গেম।
এর আগে অনলাইনে ‘মারণ গেম’খ্যাত ব্লু হোয়েল নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ।
পাবজি গেমস সম্পর্কে কয়েজন ছাত্রের মতামত নিচে দেওয়া হল:
ছিদ্দিক
পাবজি বাচ্চাদের শেষ করে দিচ্ছে । মন্ত্রী বুঝতে পারলেও কার চাপের কাছে নতি স্বীকার করলেন জাতি জানতে চায় ।
Md. Sabirul Islam
PUBG এর সাথে আর এটা গেম এসেছে Call of duty নামে। এর আগে ছিল clash of clans। অনলাইন ভিত্তিক গেম গুলোতে টিম তৈরি করে খেলা যায়। এজন্য সবার আগ্রহ বেশি এই গেমগুলোতে। গেমগুলো আসলেই তরুনেদের জন্য হুমকি সরুপ। খাওয়া নেওয়া, পড়াশুনা বাদ দিয়ে অনেক ছেলমেয়েই এখন গেমগুলোর পেছনে সময় নষ্ট করছে। সরকারের উচিত এই সমস্ত গেমস বন্ধ করে দেওয়া।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
Has this guy done anything for bd IT community? Video game does not hurt anyone. I play video game all the time, it hasn't made me violent. I bet that guy who killed his son to implicate his enimies hasn't played video game in his life. Still look how violent he is. Mostofa jabbar is a massive failure
Imtiaz
এই পাবজি যে কিশোরদের মানসিকভাবে সহিংস করে তুলবে এতে কোন সন্দেহ নাই। চিন্তা করে দেখুন, একজন টিন এইজার সারাক্ষণ চিন্তা করছে কিভাবে তার শত্রু বা বিরোধীকে হত্যা করা যায়। এটা অবশ্যই তাকে ব্যক্তিজীবনে ও সহিংস করে তুলবে।
Robiul Hasan
পাবজি খুলে দেয়া ঠিক হয়নি। ছোট ছোট বাচ্চারা সারাদিন অনলাইনে খুনোখুনি করে। এতে তাদের মনস্তত্ত্বে সহিংসতার প্রবণতা ঢুকবে। পড়াশোনা ফেলে বাস্তব খেলাধুলা করলেও তো শরীরের উপকার হয়, সামাজিক বন্ধন বাড়ে। কিন্তু এই গেম বাচ্চাদের গৃহবন্দী করে রাখে, পড়াশোনা থেকে বিরত করে আর সহিংস অসামাজিক প্রাণিতে পরিণত করে। এই গেম যদি ক্ষতিকারক না হয়, তাহলে ক্ষতিকারক গেম কোনটা? পর্নো যেমন খারাপ, সহিংসতাও তেমনি খারাপ। এ ব্যাপারে সরকারের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আবেদন জানাচ্ছি।
S K Suman
এই ধরনের অনলাইন গেম নিষিদ্ধই করা উচিৎ ছিলো। পড়ালেখা কিংবা কাজ বাদ দিয়ে এই গেম খেলার কোনো মানে হয় না। খুঁজে দেওয়া টা সিদ্ধান্ত ভালো হলো না। এখন আবার সবাই এই গেম খেলার জন্য বুদ হয়ে পড়ে থাকবে। নেশার মতন।
0 Comments: